নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারলে জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে ডিসিদের।
রাজশাহী তালাইমারী এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানিতে সোমবার (১৭ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের মাধ্যমে আদালতকে আগামী ২৩ জুনের মধ্যে অবহিত করতে রাজশাহীর ডিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানিয়েছেন তিনি রাজশাহীর ডিসির সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে।
আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি তালাইমারীর পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার (১৬ জুন) রিট আবেদন করেন। এতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ডিসির নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।