জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার জামিন আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 12:26:35

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলে জামিন আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৩ জুন) খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান সম্বনয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে বিচারিক আদালতের নথি আসার বিষয়টি জানালে আদালত আগামী সপ্তাহে শুনানির দিন ধার্য করেন।

খালেদার জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্য আইনীজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের পর দুদকের কৌঁসলি খুরশিদ আলম খান বলেছেন, আমরা জামিন আবেদনের প্রত্যেকটি যুক্তির আইনগতভাবে জবাব দেবো। কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। 

গত বৃহস্পতিবার বিচারিক আদালত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের নথিপত্র হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। এতে নড়েচড়ে বসেন দেড় মাস ধরে নথির জন্য অপেক্ষায় থাকা বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার কৌঁসুলি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেছেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আমরা যাব। মামলার যাবতীয় নথি চলে এসেছে। এসব তুলে ধরে আমরা জামিন আবেদন শুনানির জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করব। আশা করি, মামলাটিতে তিনি জামিন পাবেন।’

খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান এক ক্ষুদে বার্তায় নিশ্চিত করেছেন, রোববার জামিন আবেদনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির দুই মানহানির মামলায় গত ১৮ জুন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। কিন্তু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন না থাকায় তার কারামুক্তি আটকে আছে।

গত ৩০ এপ্রিল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে তাকে ওই মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি বিচারিক আদালতে থাকা চ্যারিটেবল মামলার নথিপত্র দুই মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই দিন খালেদার আইনজীবীরা জামিন চাইলেও আদালত খালেদার আবেদন নথিভুক্ত করে বলেন, ‘নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে।

পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের সবাইকে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। আপিলে তিনি দণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন।

একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় দেন বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত। ওই দিন রায় ঘোষণার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বদ্যিালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর