মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কালই গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে ইভা দাস ও ৫ সহকারী শিক্ষককে স্বপদে আত্তীকরণের নির্দেশনার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তাদের আত্তীকরণ করতে বলা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে অপর চারজন হলেন-নাজমুন নাহার, শিখা রানী সাহা, হাসিনা বেগম ও সেলিনা আক্তার।
এরআগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।
আালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে। বিবাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রোকেয়া আকতার।
রিট আবেদনের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া বলেন, এই রায়ের ফলে প্রধান শিক্ষক ও ৪ জন সহকারী শিক্ষকের আত্তীকরণ করা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেতে আইনি পথ সুগম হলো।
কালই গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিল যোগ দেন সেলিনা আক্তার। জাতীয়করণের পর উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি সহকারী শিক্ষক পদে সেলিনা আক্তারসহ ৪ জনের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু জেলা যাচাই বাছাই কমিটি তার নাম বাদ দিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের নাম সুপারিশ করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিট করেন শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারসহ ৫জন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এই রুলের নিষ্পত্তি করে এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।