বিলাসবহুল দুইটি বাড়ি এবং প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পদ ছাড়িয়ে নিতে ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টোর করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ভুট্টোর সম্পত্তি জব্দ থাকছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নুরুল কহ ভুট্টোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৯ জুন মানিলন্ডারিং মামলায় সিআইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আদালত বিশেষজ্ঞ মতামত শুনতে ২৫ জুন দিন ধার্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজন্স ইউনিটের (এফআইইউ) যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রব শুনানিতে মতা মত দেন।
শুনানিতে বিশেষজ্ঞ মতামতে তিনি বলেন, সিআইডি পুলিশ বাহিনীর বিশেষায়িত অংশ। ফলে তাদের মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করতে বাধা নেই।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, নুরুল হক ভুট্টোর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার সম্পত্তি জব্দ থাকবে।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআই ইউনিট জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং মামলায় সিআইডি তদন্ত করতে পাবে। কারণ এটি পুলিশের একটি বিশেষ শাখা।
ইয়াবা পাচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পড়ের পাহাড় গড়েছিলেন কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টো ও তার পরিবার। মানি লন্ডারিং আইনে (অর্থ পাচার) করা নারায়নগঞ্জের একটি মামলায় তদন্তকালে নুরুল হক ভুট্টোর অবৈধ সম্পদের তথ্য পায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। সিআইডি পুলিশের অর্গানাইজড ক্রাইমের (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন ২০১৭ সালের ২৯ আগষ্ট টেকনাফ থানায় নুরুল হক ভুট্টো, তার পিতা, স্ত্রী, ভাইসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলায় পুলিশের আবেদনে গত ৫ মার্চ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত নুরুল হক ভুট্টোর পরিবারের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন।
মামলা দায়েরের পর ওইদিন পুলিশ নুরুল হক ভুট্টোকে গ্রেফতার করে। গতবছর ২৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। এ মামলার অপর আসামি নুর মোহাম্মদ (ভুট্টোর ভাই) গত ২২ মার্চ ক্রসফায়ারে নিহত হন।