মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্কের শুনানি হবে।
আদালতে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্কে বলেন, আজহারকে রাজনৈতিক কারণে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী দেওয়া হয়েছে তা বানোয়াট। সেফ হোমে রেখে এসব সাক্ষী তৈরি করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছিল। তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সহযোগী আসামিদের বিচার করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি বলেও তিনি যুক্তি দেন।
গত ১৮ জুন আজহারের আপিলের শুনানি শুরু হয়। গত ২৬ জুন আপিল বিভাগ পেপারবুক পড়া শেষে ১ জুলাই যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক পড়েন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা ১ নম্বর অভিযোগ বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে এটিএম আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের আপিলের যুক্তিতর্ক শুরু ১ জুলাই