হোলি আর্টিজান মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 03:17:54

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজানে সস্ত্রাসী হামলা মামলায় ভারতীয় নাগরিক ডা. সত্য প্রকাশসহ দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সত্য প্রকাশ ঘটনার রাতে হোলি আর্টিজানে খেতে গিয়েছিলেন।

অপর সাক্ষি হলেন রিকশাচালক মো. আসলাম হোসেন।

মঙ্গলবার (২ ‍জুলাই) তারা ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত সাক্ষ্য রেকর্ড করে আগামী ৯ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।

এ নিয়ে ৬২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন ট্রাইব্যুনাল।

সত্য প্রকাশ আদালতে বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে তিনি হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এরপর সন্ত্রাসীরা রেস্টুরেন্টে ঢুকে গুলি বিনিময় শুরু করে। আমার পাশে বসে থাকা একজন গুলিবিদ্ধ হন। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমি বাংলাদেশি কিনা? আমি তাকে বলি আমি বাংলাদেশি। তারা আমাকে বলে, আপনি ভয় পাবেন না। আমরা আপনার কোন ক্ষতি করব না। আপনি টেবিলের নীচে মাথা দিয়ে বসে পড়ুন। এভাবে সারারাত আমি টেবিলের নীচে মাথা নীচু করে বসে থাকি।

তিনি জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ তাকে জেরা করেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।

২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় করাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন, রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ ও মামুনুর রশীদ ।

আসামি শরিফুল ইসলাম পলাতক আছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর