কনে কুমারী না ডিভোর্সি: শরীয়াহ মতামত জানতে চান হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 22:58:47

বিয়ের কনে কুমারী, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত কি-না নিকাহনামার (কাবিন নামে প্রচলিত) ৫ নম্বর কলামে থাকা এ নিয়ম বহাল রাখা বা তুলে দেওয়ার বিষয়ে ইসলামী শরীয়াহর মতামত জানতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবকে আদালতে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সোমবার (২২ জুলাই) তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে মতামত দিতে বলেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) একটি রিটে জারি করা রুলের শুনানিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা।

আদালতে উপস্থিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের মতামত (ইন্টারভেনর) জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিকাহনামার ৫ নম্বর কলাম বিধির রাখার প্রয়োজন নেই। এটা ব্যক্তির গোপনীয়তার বিরোধী। কনের ব্যক্তি মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। ইসলামী শরিয়াহ এ ধরনের বিধানকে সমর্থন করে না।

এরপর আদালত নিকাহনামার ৫ নম্বর কলামে থাকা ‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি-না’ এ কলাম রাখার প্রয়োজন রয়েছে কি-না এবং কলামটি তুলে দেওয়া হলে শরীয়াহ পরিপন্থি হবে কিনা সে বিষয়ে মতামত জানতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবকে আদালতে আসার অনুরোধ জানান হাইকোর্ট।

২০১৪ সালে নিকাহনামার ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এ রিটে নিকাহনামাতে বর-কনের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক শুনানি শেষে কাবিননামার ৫ নম্বর বিধিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর