পরস্পর বিরোধী প্রতিবেদনে ভোলার এসপিকে তলব

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 00:18:10

অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত এ বিষয়ে যথাযথ প্রতিবেদন না পাঠানোয় ভোলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করে আগামী ২০ আগস্ট সশরীরে হাজির হতে বলেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। অশীতিপর বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনের মামলার শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত।

আদালতে রাবেয়া খাতুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

গত ৩ জুলাই অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত সে বিষয়ে ভোলার এসপির কাছে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলহাস ১০ থেকে ১২ বছর আগে থেকে পরিবার নিয়ে ভোলায় বসবাস করছেন। অন্যদিকে, ভোলার এসপির দাখিল করা প্রতিবেদন বলা হয়, ভোলায় জুলহাস নামের কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রাবেয়া খাতুনের আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল আদালতকে জানান, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর ফার্মগেটের তেজতুরি বাজারে জুলহাসকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। তার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের পরস্পর বিরোধী প্রতিবেদনে অসন্তোষ জানিয়ে তলবের এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিকে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল।

প্রতিবেদনে বৃদ্ধার বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেই। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে, তাও জানি না। পুলিশরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরেও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না। মরতে চাই। আদালত আমারে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।'

রিটের প্রেক্ষিতে বিচারিক আদালতে বৃদ্ধার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারক ও সরকারি কৌসুলিকেও তলব করেন আদালত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর