বালিশকাণ্ডে সরকারের পদক্ষেপ দেখার অপেক্ষায় হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 19:37:12

পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বালিশসহ আসবাবপত্র কেনাকাটায় ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার টাকার অনিয়মের ঘটনায় সরকার কী পদক্ষেপ নেয় তারপর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিষয়টির শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

রোববার (২১ জুলাই) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১৫ জুলাই গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিল। এ প্রতিবেদনে অনিয়মের তথ্য ওঠে এসেছে। যা নিয়ে রোববার এ শুনানি হয়।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রিটের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুনানি করেন।

শুনানিতে আইনজীবী সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন বলেন, 'গণপূর্তের প্রতিবেদনে আমি সন্তুষ্ট। এতে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের নাম এসেছে।'

গত ২ জুলাই দুই সপ্তাহের মধ্যে রূপপুর প্রকল্পের অস্বাভাবিক কেনাকাটার প্রতিবেদন দাখিল করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পে অস্বাভাবিক কেনা নিয়ে রিট দায়ের করেন। ২১ মে এ রিটের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানান।

আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং প্রতিবেদন অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে সরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর