উচ্চ আদালতের তলবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো.গোলাম ফারুক হাজির না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। তাকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ফের তলব করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে মাউশির ডিজির সশরীরে হাজিরের দিন ধার্য ছিল।
আদেশের পরেও হাজির না হয়ে ডিজি ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানান, আদালতের আদেশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ঝিনাইদহের একটি কলেজের ১৯ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিভূক্তির আদেশ প্রতিপালন না করার জন্য তার আইনজীবী ক্ষমা চান। আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, হাজির না হয়ে তিনি আদেশ প্রতিপালন করা হয়েছে জানিয়েছেন। আমরা এতে সন্তুষ্ট নই তাকে বৃহস্পতিবার হাজির হতে আদেশ দিচ্ছি।
আদালতে ১৯ শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও আইনজীবী সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। মাউশির ডিজির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মুশফিকুস সালেহীন।
গত ২১ জুলাই মাউশির ডিজিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) তার হাজিরের দিন ছিল।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া জানান, ঝিনাইদহের সালেহা বেগম ডিগ্রী কলেজের ১৯ শিক্ষককে এমপিওভূক্ত করতে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের করা হলে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট তা খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ১৯ শিক্ষক আদালত অবমাননার মামলা করেন।
এ আবেদনের পর ১৮ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন। তারপরও আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আদালত তাকে ২১ জুলাই তলব করেন।