‘গ্রেফতারে জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-31 10:55:23

কাউকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। কাউকে গ্রেফতারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতেও বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আগাম জামিন আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে ‘আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে বঞ্চিত করা যাবে না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ ১৬ জনের আগাম জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে সরকারের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলেও তা এখনো সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তোলা হয়নি।

রায়ে আগাম জামিনের ১৬ দফায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তিকে কোনো মামলায় আট সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেওয়া যাবে না। এই আগাম জামিন কোনোভাবেই অভিযোগপত্র দাখিলের পর চলমান থাকতে পারবে না। সুনির্দিষ্টভাবে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ গুরুতর অভিযোগ থাকলে আগাম জামিন বিবেচনা করা যাবে না।

গত ১৮ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। ঐদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির স্থায়ি কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, হাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন, ডা, মোরশেদ হাসান খান, মো. আমিনুর রহমানের জামিন বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশ দেন।

এই রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ এ ১৬ জনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ করলে জামিন আবেদন বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।

রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সংবিধানের ১১১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রায় হাইকোর্ট ও সকল নিম্ন আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সাধারণত উচ্চ আদালত আগাম জামিন আবেদন শুনেন। সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের জন্য এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর