বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণের দুর্নীতি মামলায় কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভির-উল-ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ১৮ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর বনানীস্থ কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অফিস থেকে তাসভিরকে গ্রেফতার করে দুদক।
আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ার দুর্নীতি, কাসেম ড্রাইসেলের এমডি গ্রেফতার
সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক।
আবেদনে বলা হয়, এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণে রাজউকের এস্টেট শাখার কোন ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। কোন ফি প্রদান করা হয়নি এমনকি নকশাও অনুমোদন করা হয়নি।
আসামি তাসভির ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ ভবনটির ২০ থেকে ২২ তলা অফিস স্পেস কেনার জন্য রূপায়ন হাউজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেন।
অবৈধভাবে নির্মিত ওই স্পেস ক্রয়ের জন্য ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি আসামি ভুয়া ও জাল নকশা দাখিল করে জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানির কাছ থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ নেন।
আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেফতার
গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত এবং ৭৩ জন মারাত্মকভাবে আহত অথবা চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
একই মামলায় গত ২৯ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারি পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) মো. সদরুল আলম গ্রেফতার হন। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠায় একই আদালত।
একই ঘটনায় দায়ের হওয়া পেনাল কোডের মামলায় গত ৩০ মার্চ আটক হয়েছিলেন তাসভির। ৩১ মার্চ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেন পুলিশ। রিমান্ড শেষে ১১ এপ্রিল তিনি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান।
একই সময়ে গ্রেফতার হন জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। তিনি এক মাস ৫ দিন কারাভোগের পর ৬ মে জামিন পান।
গত ২৩ জুন আত্মসমর্পণেই জামিন পান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল। তবে দুদকের মামলায় তিনি পলাতক আছেন।