মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরের ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আর এটি প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম. সানাউল হক।
এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সানাউল হক জানান, এই মামলায় মোট আসামি ১৫ জন। এর মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার এবং বাকি ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। এটি তদন্ত সংস্থার ৭৪তম প্রতিবেদন।
গ্রেফতার হওয়া ৫ জন হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন খান (৭৭), সৈয়দ বদিউর রহমান ওরফে বনু মিয়া (৭০), মো. উমেদ আলী (৮৭), মো. আবু ছিদ্দিক (৭৫), মো. আব্দুল খালেক (৬২)। এরা তৎকালীন রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
২০১৭ সালের ৬ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তদন্ত শেষ হয়েছে। মোট ৩৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে জব্দ তালিকার ৩ জন, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে গিয়াস জামায়াতের সমর্থক, বনু মিয়া ও খালেক আওয়ামী লীগের সমর্থক, বাকি দুইজনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায় নাই।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৩০ জনকে হত্যা, ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে লুটপাট চালায় আসামিরা। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, ধর্ষণ, নির্যাতনও করেছে তারা।