ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় মাদ্রাসার তখনকার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের ‘নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার’ সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিবের করা তদন্ত কমিটি সোমবার (২৬ আগস্ট) প্রতিবেদনটি জমা দেয়।
এদিন দুপুর ২টায় বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ১৫ জুলাই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় তখনকার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পি কে এনামুল করিমের ভূমিকা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আদালতে।
গত ৭ আগস্ট মো. হাবিবুর রহমান ফেনীর জেলা প্রশাসক ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে এ তদন্ত করেন।
মতামত অংশে প্রতিবেদনের বলা হয়, নুসরাতের মায়ের দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাহ জেলহাজতে থাকায় মামলার বিষয়ে তার সরাসরি কিছু করার নেই মর্মে এডিএম পি কে এনামুল করিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইন সংগত। তবে উভয়পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে কিছু বৈপরীত্য রয়েছে। পরবর্তী ঘটনার আকস্মিকতা ও পারস্পরিকতায় ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের দেওয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত “এডিএম পিকে এনামুল করিম এর নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কথা বর্ণনা করে কিছু কিছু মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি” মর্মে দেওয়া বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য ও যৌক্তিক মর্মে প্রতীয়মান হয়।
গত ২১ জুন দৈনিক সমকালে “এডিএম এনামুলের ভূমিকা, পুলিশের তদন্তের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রণালয়ের” শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।