ডেঙ্গু নিয়ে কমিশন গঠনের নির্দেশ দেবেন হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বর্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 00:57:09

ডেঙ্গু মশা নিধনে সরকার ও সিটি করপোরেশনের করণীয় এবং আইন ও নীতিমালা তৈরির জন্য কমিশন গঠনের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। আগামী বুধবার এ বিষয়ে শুনানিতে আদেশ আসতে পারে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

আদালতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০ আগস্ট আমাদের প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। ওই প্রতিবেদনটি আমরা আজকে দিয়েছি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—গত ১ আগস্ট আমরা ওষুধ আনি। এরপর ওষুধ পরীক্ষা করি। ৭ তারিখে আমরা ওষুধের বরাদ্দ হাতে পাই। ১০ তারিখ থেকে ওষুধ ছিটানো শুরু করি।

তিনি বলেন, দক্ষিণের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা ওষুধ ছিটিয়েছি। ডেঙ্গু বা মশামুক্ত করতে ৪৭০ জন কর্মী অতিরিক্ত সময়ে কাজ করছেন।

আইনজীবী রাজা বলেন, আদালত মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। যথা সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। ডেঙ্গুর কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। চিকুনগুনিয়ায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এটার জন্য এখন একটা জুডিশিয়াল অনুসন্ধান বা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অনুসন্ধান করার জন্য আগামী বুধবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ওই দিন একটা কমিশন গঠন করে দেবেন আদালত। কমিশন জানাবেন ডেঙ্গু রোধে সরকারের কী পদক্ষেপ ছিল। সিটি কর্পোরেশনের কী করার ছিল। ডেঙ্গু রোধে অন্যান্য দেশে কিভাবে করা হয়। তাদের নীতিমালাগুলো ও আইন কী আছে সেই কল্পে একটা আইন বা নীতিমালা তৈরির জন্য এই মামলার অধীনে চেষ্টা করবেন।

আইনজীবী সাইদ আহমেদ রাজা আরও বলেন, আমার এ বক্তব্যের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল যখন কোর্টে দাঁড়ালেন তখন কোর্ট তাকে জিজ্ঞেস করলেন এত পৌরসভা, ইউনিয়ন, উপজেলায় কিভাবে আপনারা ওষুদ দেবেন তখনই কিন্তু এটা প্রমাণ হয়ে গেছে সরকারের দায়িত্ব নেওয়া দরকার ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মশা নিধনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা কোর্টে দরখাস্ত দিয়ে বলেছিলাম দয়া করে ওষুধ এনে দেন। সরকারের তখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে ফেলার দরকার ছিল না। এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ফলে সাত দিন কিন্তু আমরা ওষুধ ছিটাতে পারিনি। অথচ সরকার চাইলে তিনদিনের মধ্যে ওষুধ এনে ছিটানো সম্ভব ছিল।

গত ২০ আগস্ট মশা নিধনে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর