সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার বিচারে বাধা কাটল

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-31 09:41:43

 

সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই। মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে শুনানির জন্য বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলার কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়েছে। ফলে এ মামলার বিচার চলতে বাধা নাই।’

রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক আসামি। প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২৯ আগস্ট বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

একইসঙ্গে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

গত ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ আসামিরা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে অপহরণের পর মেয়র মিরুর বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মিরুর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরের দিন মারা যান শিমুল। এ ঘটনায় মিরু ও তার সহোদর মিন্টুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী।

মামলা দায়েরের তিন মাস পর ওই বছরের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি এই মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর