আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাত দিনের মধ্যে নুসরাত হত্যা মামলার সকল রেকর্ড ও সকল ডকুমেন্ট হাইকোর্টে স্থানান্তর হবে। এই মামলার পেপার তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যথা শিগগিরই তা তৈরি করার চেষ্টা করব। তারপরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ প্রস্তুত হবে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আইনমন্ত্রীর গুলশান অফিসে নুসরাত হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, আশা করি উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে। তবে উচ্চ আদালতে দুই-এক জনের সাজা কিছুটা কমে আসতে পারে। নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ বিচারকরা মামলার সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছেন। এই মামলায় ৯২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১২ জন স্বীকার করেছেন।
নুসরাতের পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নুসরাতের পরিবারকে যতদিন পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হয় ততদিন পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই রায়কে কেন্দ্র করে আসামি পক্ষের কেউ যদি নুসরাতের পরিবারকে কোন ধরণের ভয়-ভীতি বা হুমকি-ধামকি দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি সাজাপ্রাপ্ত একজন নারীর একটা শিশু সন্তান রয়েছে। উচ্চ আদালতে যদি এই মামলা যায় তাহলে এই কারণে হয়তো বিশেষভাবে বিবেচিত হতে পারেন। সাজা কিছুটা কমে আসতে পারে। অতীতের এমন হয়েছে, সেজন্য বলা। তবে এই মালমার ক্ষেত্রে কী হবে তা জানি না। যদি এই মামলার সঠিকভাবে বিচার হয় তাহলে বাকি ১৫ জনের রায় বহাল থাকবে।
এই মামলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পরে আমরা জানতে পারি। অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয় যা আমরা প্রথমে জানতে পারি না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানার পরে আমরা একটা পদক্ষেপ নিতে পারি। এজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।