সাজার বিরুদ্ধে এমপি হারুনের হাইকোর্টে আপিল

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 14:25:33

শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করে বিক্রির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন হাইকোর্টে। আপিলে এমপি হারুন খালাস চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি এ মামলায় জামিনও চেয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হবে।

গত ২১ অক্টোবর (সোমবার) শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে হারুন অর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।

একই সঙ্গে, তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

রায় ঘোষণার পর এমপি হারুনকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

চার দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে একটি হামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে কেনেন এমপি হারুন। গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর