ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন বাবা

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-29 21:36:55

মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বাবা অধ্যাপক ড. অজয় কুমার রায়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার আরেক সাক্ষী মাসুদুর রহমানও ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ১৮ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।

জবানবন্দিতে অজয় রায় বলেন, '২০১৫ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ থেকে সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা আমার বড় ছেলে অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের একটু সামনে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা চেষ্টা করলে তাকেও আঘাত করা হয়। এতে তার ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে পড়ে যায়। আমরা খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাদের দেখতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর অভিজিৎ মারা যায়। তার স্ত্রী বন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার একদিন পর শাহবাগ থানায় মামলা করি।'

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

গত ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।

মামলার আসামিরা হলেন— সাবেক মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস), শফিউর রহমান ফারাবি ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক আছেন।

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় এবং তার স্ত্রী নাফিজা আহমেদকে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় তাদের ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টায় মারা যান অভিজিৎ।

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর