বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর প্রায় ৩৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা পারমিশন মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এ আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষমতার অপব্যবহারের করে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন। এ সমস্ত অবৈধ সম্পদ বিভিন্ন পন্থায় দুবাইয়ে পাচার করেন।
দুবাইয়ে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেদের দখলে রেখে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ১৩ মে মামলা দায়ের করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, মামলার প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায় রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক ফালু। রোজা প্রোপার্টিজের সম্পত্তি মূলত তারই ভাতিজা নাঈম উদ্দিন আহমদের নামে কেনা। যা অবৈধ সম্পদ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত।
এছাড়া রাজধানীর কাকরাইলে রোজা প্রপার্টিজের কেনা ১৬ কোটি টাকায় ওই স্থাবর সম্পত্তি এবং রোজা প্রোপার্টিজের কাওরান বাজারস্থ সাড়ে ৯ কোটি, রাজীন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিডির ২৬ কোটি ৯৮ লাখ ও দুবাইয়ে রোজা এন্টারটেইনমেন্ট এফজেডই ও রোজা ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়েছিল।
অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন।