ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন নুসরাতের দুই বান্ধবী

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 02:09:27

ফেনী সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় ওই থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন নুসরাতের দুই বান্ধবী।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম নুসরাতের দুই বান্ধবী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি ও নিসাত সুলতানা এবং সিআইডির ফরেনসিক কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে নুসরাতের দুই বান্ধবীসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন করায় এদিন তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।

শুনানিতে প্রসিকিউটর শামীম বলেন, 'মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য তাদের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। ওসি মোয়াজ্জেম যে মোবাইল থেকে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন মোহাম্মাদ বাদী হচ্ছেন তার পরীক্ষক।'

এ মামলাইয় বাদীসহ এ পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

গত ১৬ ‍জুন বিকালে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় বাদী সুমন বলেছিলেন, 'যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।'

নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তা ছেড়ে দেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সোশ্যাল মিডিয়ার ছেড়ে দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ।

গত ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৬ এপ্রিল মাদরাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে তার গায়ে আগুন দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর