বিচারের শেষ ধাপ রিভিউ

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 23:26:04

আপিলে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের (রিভিউ) সুযোগ পাবেন জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করবেন।

আইন অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ পরোয়ানা শোনার পর থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন-বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।

আরও পড়ুন: আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল

এ রিভিউ আবেদন খারিজ হলে সরকারের সিদ্ধান্তে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে এ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের তোড়জোড়। অবশ্য শেষ আইনি সুযোগ হিসেবে এটিএম আজহারুল ইসলাম তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন। সেটি না করা হলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি পর্যন্ত আদালতের আইনি প্রক্রিয়া শেষ৷

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে রিভিউর প্রক্রিয়া তুলে ধরে বলেন, আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রিভিউ আবেদনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন আজহার৷ এ সময়ের মধ্যেই তাকে রিভিউ আবেদন করতে হবে৷ রিভিউ আবেদনে যদি দণ্ড বহাল থাকে, তাহলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা বা প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন তিনি৷

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ হয়, তাহলে সরকার যে কোনো দিন দণ্ড কার্যকর করতে পারে৷ কারাবিধির নিয়ম হলো ২১ থেকে ২৭ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হয়৷ তবে মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়৷ এখানে সরকার যখন খুশি দণ্ড কার্যকর করতে পারে৷

এ সম্পর্কিত আরও খবর