জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের মাধ্যমে অংশ নিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাস। শ্রুতি লেখকের সহায়তায় তাকে সুযোগ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সুদীপ দাসের পক্ষে আইনজীবী কুমার দেবুল দে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেছেন।
আগামী শুক্রবার জুডিশিয়াল সার্ভিসের ত্রয়োদশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে চান সুদীপ দাস।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, অন্ধ হওয়ার কারণে সুদীপ দাস পরীক্ষা দিতে পারছেন না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। আশা করি, উচ্চ আদালতে প্রতিকার পাব।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের স মন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সুদীপ দাস জানান, পরপর দুই বছর বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় বসলেও খালি খাতা ফেরত দিতে হয়েছে তাকে। কারণ শ্রুতি লেখকের সুযোগ নেই এ পরীক্ষায়। আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সহায়তা নিয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। বিসিএস ও ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায়ও শ্রুতি লেখকের সুযোগ আছে।
সুদীপ দাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
সুদীপ আরও জানান, গত দু'বছর প্রবেশপত্র পেয়েও দিতে পারেননি এ পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা হলে বসে থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় শ্রুতি লেখক না পাওয়ায়। পরীক্ষার আগে বারবার যোগাযোগ করছিলেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল কাউন্সিল অফিসে। কিন্তু অনুমতি মেলেনি।
তিনি বলেন, আমাকে হয়ত অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু আমার হাত ধরে যদি আমার অনুজরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, এ জন্য রিট করেছি।