দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাস শ্রুতি লেখকের সহায়তায় জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন কি না জানা যাবে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায়।
শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দিতে তার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করেন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ত্রয়োদশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় ধাপে ধাপে উত্তীর্ণ হলে সহকারী জজ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সাহায্যে অংশ নিতে চান সুদীপ দাস। কারণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় এর আগে দুইবার পরীক্ষায় অংশ নিলেও শ্রুতি লেখক না থাকায় খালি খাতা জমা দেন সুদীপ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের সন্তান সুদীপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে শুনানিতে বলেন, অন্ধ হওয়ার কারণে সুদীপ পরীক্ষা দিতে পারছেন না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। তিনি শুক্রবারের পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সহায়তায় অংশ নিতে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চান।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এর বিরোধীতা করে বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা সহানুভূতিশীল। জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুসারে অন্ধ ও বধির ব্যক্তি এ পদের যোগ্য নন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদের নিয়োগ হলে সুষ্ঠু বিচার বিঘ্নিত হবে।