বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ২০১৯-২০২১ সালের নির্বাচনের বাধা কেটেছে। নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া দুই মাসের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাজুসের নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাজুসের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বাজুসের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস, মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ইমাম হাসান।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, 'বাজুসের নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়েছে। ফলে শুক্রবার নির্বাচন হতে বাধা নেই।'
বাজুসের এক সদস্যের করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে গত ৪ নভেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সংগঠনের নির্বাচন স্থগিত করেন। একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে এফবিসিসিআই'র সালিশ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বাণিজ্য সচিবসহ ১২৯ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী ইমাম হাসান জানান, এ নির্বাচনের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ১১৪ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী বোর্ডে আবেদন করেন প্রার্থী বিপুল ঘোষ (শঙ্কর)। কিন্তু নির্বাচনী বোর্ড ২৯ সেপ্টেম্বর ওই ১১৪ জনকে রেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। পরে তিনি এফবিসিসিআই'র আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। এর মধ্যে তিনি হাইকোর্টে রিটও করেন। ৩০ অক্টোবর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করেন।
পরে বিপুল ঘোষ হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত নির্বাচনের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন।