জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সহায়তা পাবেন না দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাস। আগের মতোই শ্রুতি লেখকের সহায়তা ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে তাকে। তার রিট আবেদনে কোনো আদেশ না দিয়ে এটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দিতে তার করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে দুপুর দুইটায় আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল।
আদেশের পর সুদীপ দাস বলেন, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ত্রয়োদশ পরীক্ষায় আমি অংশ নেব। পরীক্ষার খাতায় হয়তো কিছু লিখতে পারবো, কিন্তু পরীক্ষার হলে যেতে পারব। এটাই আমার নিরব প্রতিবাদ। আশা করি আমার প্রতিবাদ থেকে এক সময় অন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা সুযোগ পাবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় এর আগে ২০১৮ সালের পরীক্ষায় সুদীপ দাস অংশ নিলেও শ্রুতি লেখক না থাকায় খালি খাতা জমা দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের সুদীপ দাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে শুনানিতে বলেন, অন্ধ হওয়ার কারণে সুদীপ দাস পরীক্ষা দিতে পারছেন না। এটা সংবিধান পরিপন্থী। তিনি শুক্রবারের পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সহায়তায় অংশ নিতে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চান।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বিরোধিতা করে বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা সহানুভূতিশীল। জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুসারে অন্ধ ও বধির ব্যক্তি এ পদের যোগ্য নন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদের নিয়োগ হলে সুষ্ঠু বিচার কাজে বিঘ্ন তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: অন্ধ সুদীপ দিতে চান বিচারক নিয়োগ পরীক্ষা