উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।
গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন চাঁদা না পেয়ে বাদীর পিতা নয় নম্বর চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার ওপর হামলা করেন। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়তে পারবেন না।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলার এক থেকে ১১ নম্বর আসামিকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাখ্য তলব করেন। ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিম দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর পরও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। এর প্রেক্ষিতে লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়ের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারককে তলব করলেন হাইকোর্ট।