সাগর রুনি হত্যার তদন্ত চলছেই

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-21 23:19:06

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাত্রে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন।

হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর নয়মাস হয়ে গেল, ৬৯ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করলেন বিচারক। তবু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। তদন্ত চলছেই।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ঘটনার চারদিন পর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। কিন্তু গত ৭ বছর নয়মাসেও র‌্যাবের পক্ষে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাগর রুনির হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর রুনির লাশ তোলে র‌্যাব। তাতে পরীক্ষা করে দেখা যায় নিহত সাগর রুনিকে হত্যার আগে কোন নেশাজাতীয় খাবার পানীয় দেওয়া হয়নি এবং কোন বিষও পাওয়া যায়নি।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সাথে ম্যাচিং করার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।

ঘটনার ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার থাকা ৫ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার দেখিয়ে এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়।

এছাড়া ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবারও (১৪ নভেম্বর) কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের নতুন করে দিন ধার্য করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর