কারা চিকিৎসক যারা যোগ দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 02:21:03

কারা চিকিৎসক পদে প্রেষণে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা পদে যোগ না দেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে হবে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি হবে।

গত ৫ নভেম্বর ১৬ চিকিৎসক কেন যোগদান করেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদনে আদালতে জানিয়েছিল সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছে ১০ জন। অপরদিকে বন্দিদের মোট ৪০ হাজার ৬৬৪ জন ধারণ সংখ্যার বিপরীতে বন্দী রয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন(২৭ আগস্ট পর্য‌ন্ত)।

২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪জন যোগদান করে। বাকী ১৬জন এখনো যোগদান করেননি।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.জে আর খান রবিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়– কারা চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১টি। এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ১০ জন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই। এদিকে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪ জন যোগদান করে। বাকী ১৬ জন এখনো যোগদান করেননি।

কেন ওই ১৬জন যোগদান করেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মো. জে আর খান রবিন। 

এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।

২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর