জরিমানার টাকা পাবে নুসরাতের পরিবার

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-23 09:06:44

ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারায় ৫ বছর ও ২৯ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড  দেওয়া হয়। দুটি সাজা একের পর একটি চলবে। ফলে তাকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এছাড়াও তাকে দুই ধারায় ৫ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  জরিমানার টাকা নুসরাতের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে রায় হওয়ার আগে তিনি যতদিন কারাগারে আটক ছিলেন, ততদিন সাজার মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

গত ১৬ ‍জুন বিকালে হাইকোর্ট এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  সেই থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।

গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি  রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন।

পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় বাদী সুমন বলেছিলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম  তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তা ছেড়ে দেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সোশ্যাল মিডিয়ার ছেড়ে দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ।

গত ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর