বিএনপি দলীয় সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালকে ত্রাণের চাল আত্মসাতের তিন মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে নোটিশ প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ এবং তার জামিন বিবেচনার জন্যও বলা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
গত ২৭ নভেম্বর একটি ও ২৮ নভেম্বর তিনটি দুর্নীতির মামলায় একই ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত গত ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ শুনানির পর সৈয়দ শহীদুল হক জামালকে ত্রাণ আত্মসাতের ২০টি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। এ অব্যাহতির বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করে দুদক।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। সৈয়দ শহীদুল হক জামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিক আহমেদ ও এম কে রহমান।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল থেকে ১০ মেট্রিক টন করে মোট ৩০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৫ জুন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবদুর রহিম জোয়ার্দার বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় তিনটি মামলা করেন।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. বারেক মৃধা, উদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনোজ কুমার বিশ্বাস ও আলেয়া বেগমকে এ তিন মামলায় আসামি করা হয়।
পরে বাদী মো. ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ১ আগস্ট সৈয়দ শহীদুল হক জামালসহ অন্যদের আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন।