ফটিক হত্যা মামলায় ৬ আসামির সবাই খালাস

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 17:49:13

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শরীফ এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত জামিল, সোলেমান, নূর মোহাম্মদ, সাদেক এবং আলমগীরকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ ও আলমগীর পলাতক।

আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৪ সালের ২৯ জুন শরীফকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন। রায়ে আদালত ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে আসামিদের আপিল গ্রহণ করেছেন। ফলে শরীফের আর মৃত্যুদণ্ড হবে না। যারা যাবজ্জীবন তারাও খালাস পাবেন। খালাসের কারণ হলো প্রসিকিউশন বা বাদীপক্ষ মামলাটিতে সঠিকভাবে সাক্ষী আনতে পারেনি।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর গ্রামে ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে অপহৃত হন। অনেক খোঁজাখুজির পর ৮ অক্টোবর চানপুর এলাকার ফাইন ফুড ফিশারি থেকে তার মস্তকবিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ফটিকের ভাই মইন উদ্দিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর