ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদ ১১ জেলার ১০৬ জনের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জেলাগুলো হলো-ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, জামালপুর ও কুমিল্লা।
একই সঙ্গে এসব জেলার ইউপি ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা পদে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ না করে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার পদে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উদ্যোক্তা পদে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পৃথক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ৩০ জনের পদের জন্য এ আদেশ দেন। আগের দিন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আরো ৭৬ জনের ক্ষেত্রে একই বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা পদে কর্মরত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অন্য দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদেশের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে নয় বছর ধরে কর্মরত আছেন রিট আবেদনকারীরা। অথচ তাদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ না করে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার ৩০ জনের এবং সোমবার ৭৬ জনসহ মোট ১০৬ জনের জন্য হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদ ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের এ ১০৬টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে এবং পদগুলো সংরক্ষিত থাকবে।
ফজলুল কবির, মো. রুবেল, মো. শামীম, মো. নোমান, মো. সালাউদ্দিনসহ ১১ জেলার ১০৬ জন এ রিট আবেদন করেন।