সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় করা দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ২৩ নেতা হাইকোর্টে আগাম জামিন পেয়েছেন। তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।
এ সময়ের পর বিএনপি নেতাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজউদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সহায়তা করেন সগীর হোসেন লিয়ন ও আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
আরো যারা জামিন পেয়েছেন-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শিমুল বিশ্বাস, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু,খন্দকার আবু আশফাক, নিপুন রায় চৌধুরী, শাহ আবু জাফর, কাজী আবুল বাশার, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।
এর আগে সকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
তারা দুইজন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন পান। আদালতে আবেদনের পক্ষে তারা নিজেরাই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
গত ১১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে হাইকোর্টের মাজার গেট, ঈদগাহ মাঠের গেট ও বার কাউন্সিলের গেটের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর রাতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভীসহ ১৩৫ জনকে আসামি করে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলার একটিতে আসামির সংখ্যা ৭০ এবং আরেকটিতে ৬৫ জন।