২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পিইসিতে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 12:54:15

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৮ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কৃত সকল শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিইসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পিএইসি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চান আদালত। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজিসহ চার জনকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একটি দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর 'পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন' শিরোনাম নামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে এ আদেশ দেন আদালত। প্রতিবেদনটি নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে 'শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা'র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেছিলেন, যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা অনুচিত। বহিষ্কার না করে অন্য উপায় অবলম্বন করা যেত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর