পাখির অভয়াশ্রম রক্ষায় দুই মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চান হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঢাকা | 2023-08-28 11:50:27

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে থাকা পাখির অভয়াশ্রম রক্ষায় কৃষি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ জানুয়ারি আদেশের দিন নির্ধারণ করে এ সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আইনজীবী ছিলেন প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত ৩০ অক্টোবর খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে থাকা পাখির বাসা ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই গ্রামকে কেন পাখির জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ওই গ্রামকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করলে আমবাগান মালিক বা ইজারাদার কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তা নিরূপণ করে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে রাজশাহীর ডিসি ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ নির্দেশের পর রাজশাহীর ডিসি লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, পাখির অভয়াশ্রম রক্ষা করতে হলে আমবাগানের মালিককে বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা দেওয়া প্রয়োজন। আর স্থায়ীভাবে অভয়াশ্রম করতে আমগাছসহ জমি সরকারের অনুকূলে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিতে লাগবে ২ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

গত ৩০ অক্টোবর ‘পাখিদের বাসা ছাড়তে সময় দেওয়া হলো ১৫ দিন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে ২৫টি আমগাছে শামুকখোল পাখিরা বাচ্চা ফুটিয়েছে। বাচ্চাগুলো এখনো উড়তে পারে না। গত চার বছর ধরেই পাখিগুলো সেখানে বাসা নির্মাণ করছে। প্রতিবছর বর্ষার শেষে ওই আমগাছগুলোতে বাসা তৈরি করে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফোটায়। শীতের শুরুতে পাখিগুলো চলে যায়। এ কারণে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে পাখি নিধন ঠেকাতে বাগানের পাশে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সাইনবোর্ডে লেখা আছে, বন্যপ্রাণী আটক, হত্যা, শিকার, পরিবহন ও কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১২ বছর ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা। ওই সাইনবোর্ড  টাঙিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর