দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) ও কাউন্সিলর নিয়োগের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
গত ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সিলর নিয়োগের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের পারিবারিক, সামাজিক ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন কারণে নৈতিক অবক্ষয়, মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকৃতি থেকে রক্ষা করতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সিলর প্রয়োজন।
দেশের প্রতিটি নাগরিকের উপযুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতের বিষয়ে রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, ব্যক্তিত্বের সংকট, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের উপযুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতে রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সংবিধানের ১৭ (ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের এমন বলা হলেও বিবাদীরা নিষ্ক্রিয়। যার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে।