মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা পিলখানার ঘটনায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে বুধবার (৮ জানুয়ারি)।
এ রায়ে ১৩৯ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
রায়ের আকারের দিক থেকেও এটি বৃহত্তম। মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি ।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের তিন সদস্য রায়ে স্বাক্ষরের পর প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারের দ্বিতীয় ধাপ শেষ হবে। এরপর দণ্ডিত আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ পাবেন।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। বেকসুর খালাস দেন ২৭৮ জনকে।
পরে এটি ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হিসেবে হাইকোর্টে আসে। আসামিরা বিচারিক আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় দেন। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে বুধবার।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় জওয়ানদের বিদ্রোহ থেকে হত্যাকাণ্ড চলে। বিডিআরের মহাপরিচালক, সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মারা যান।