সাভার থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 21:47:21

‘মানবাধিকার খবর’ নামক মাসিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিনের অপহরণকারীদের ধরেও মামলা না করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফএম শাহেদ হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভার থানাধীন ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক, অপহরণে জড়িত বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রণিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘মানবাধিকার খবর’ নামক মাসিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ করা হয়, মাস দুয়েক আগে ফেসবুকে আসামি বৃষ্টি বাদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এর কিছুদিন পর বাদী মানবাধিকার কর্মী জেনে আসামি বৃষ্টি একটি ছেলেসহ অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন মর্মে জানিয়ে তার কাছে সহায়তা চান।

আসামির অনুরোধে বাদী একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সাভার যান। গেট থেকেই ৩-৪ জন ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে মারধর শুরু করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল, ক্যামেরা ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়।

নির্যাতন করে বিকাশ ও কার্ডে পিন নম্বর জেনে এটিএম কার্ড ও বিকাশের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা তুলে নেয় তারা। বাদীর মোবাইল থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

মুক্তিপণের বিষয়ে কেউ সাড়া না দিলে বিকেল নাগাদ অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে বাদী সাভার থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃষ্টিসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে পুলিশ মামলা না করে ওই নারীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। না করলে উল্টো ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদীকে আদালতে চালানের ভয় দেখায়। তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।

বাদী বিপদ বুঝে পুলিশের কথামতো কাজ করে থানা থেকে মুক্তি পান। পরে বাদী জানতে পারেন, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য এবং পুলিশ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, আইনজীবী আজাদ রহমান, প্রিয়লাল সাহা, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর