দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল কিন্তু দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করে গেজেট প্রকাশ করে।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার সহপাঠিরা।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
মামলা তদন্ত করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৮ নভেম্বর ডিবি পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মুজতবা রাফিদ।
আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।