এর মাঝে কতটুকুই বা আমাদের দৃষ্টি সীমার ভেতর আছে! রঙিন পাখার প্রজাপতি দেখেই আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই। অথচ এমনও প্রজাপতি রয়েছে, যার পাখা একেবারেই স্বচ্ছ। কাঁচের মতো ঝকঝকে!
অবিশ্বাস্য এমনই বেশ কয়েকটি প্রাণীর পরিচিতি পাবেন আজকের ফিচারটি থেকে।
এই ব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম থেলোডার্মা কর্টিকল (Theloderma Corticle). উত্তর ভিয়েতনাম সহ চীনের কিছু অঞ্চলে এমন এই বিশেষ ব্যাঙের দেখা পাওয়া সম্ভব হয়। ৮-৯ সেন্টিমিটারের ছোট এই ব্যাঙকে কোন পাথরের ওপর বসে থাকতে দেখলে বোঝা মুশকিল হয়ে যাবে, এটা পাথরের শ্যাওলা নাকি কোন প্রাণী!
নামের মতোই এই কাঁকড়ার গায়ের রঙ উজ্জ্বল ও গাঢ় বেগুনী। বাইরের দিকে বের হয়ে থাকা উজ্জ্বল হলদে চোখ ও ব্যতিক্রমী গায়ের রঙের জন্য, হুট করে এই কাঁকড়া দেখলে অবাক হতে হবে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সন্ধান পাওয়া যাবে এই বিচিত্র পার্পল ভ্যম্পায়ার ক্র্যাবের।
একেবারেই অন্যরকম এই কচ্ছপকে দেখলে খেলনা কচ্ছপ বলে মনে হবে। ছোট আকৃতির এই সকল কচ্ছপের দেখা পাওয়া যাবে দক্ষিণ আমেরিকাতে। এই কচ্ছপের খোলসের রঙ সাদা, গোলাপি,উজ্জ্বল লাল, উজ্জ্বল কমলা এমনকি ছাই রঙেরও হতে পারে।
পাঙ্ক হেয়ারস্টাইলের মতো এই পোকার লেজের ঝালর দেখলে বিস্মিত হতে হয়। মাত্র পাঁচ মিলিমিটার লম্বা এই পোকাটির সন্ধান পাওয়া গেছে ২০১২ সালে। দ্রুত গতির এই পোকাটিকে দেখলে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না, এমন পোকাও থাকতে পারে বাস্তবে।
বৃহত্তর আকারের এই পাখিটির আবাসস্থল হলো দক্ষিণ আমেরিকায়। এছাড়া কাডানার কিছু এলাকাতেও এই পাখিটির সন্ধান মিলবে। অতিকায় এই পাখিটি দেখে একইসাথে অবাক হতে হয় ও কিছুটা ভয়ও পেতে হয়। পাখিটির মাথার খোঁজ করলে একটু ভালো করে ছবিটি দেখলে বোঝা যাবে, শরীরের উপরে মধ্যখানে মাথাটি লুকিয়ে আছে। আর বিশালাকার যে দুইটি বৃত্তকে চোখ ভাবছেন, সেটা আসলে পাখিটির বুকের অংশ।
ম্যাজিকেল এই প্রজাপতির অফিশিয়াল নাম হলো ‘গ্রেটা অটো’। তবে এর বাহ্যিক সৌন্দর্য ও এর স্বচ্ছ পাখার কারণে ‘গ্লাস বাটারফ্লাই’ নামেই বেশি পরিচিত এই প্রজাপতি। খুব কাছ থেকে দেখা হলে বোঝা যাবে যে স্বচ্ছ পাখার ভেতর দিয়ে অতি সূক্ষ্ম নালী রয়েছে।