খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য ও সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটরের বিকল্প নেই। বিশেষ করে পচনশীল খাদ্য উপাদান ও দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান ফ্রিজ ছাড়া সংরক্ষণের কথা ভাবাই যায় না।
এখন যদি বলা হয় রেফ্রিজারেটর ছাড়া ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই ভালো থাকবে মাখন, আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কারণ দুগ্ধজাত খাবার ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় না রাখা হলে অবধারিতভাবেই নষ্ট হয়ে যাবে। সেখানে ঘরোয়া তাপমাত্রায় মাখন ভালো থাকার প্রশ্নই আসে না।
ডাইনিং টেবিলে অন্যান্য সকল সাধারণ উপাদানের মতোই, ব্যবহারের জন্য মাখন রেখে দিতে পারবেন অবলীলায়। ইউএসডিএ (USDA-United States Department of Agriculture) এর তথ্যানুসারে দুগ্ধজাত খাবারের মাঝে একমাত্র মাখনই একটি খাদ্য উপাদান, যা রেফ্রিজারেটর ছাড়া ঘরোয়া তাপমাত্রাতে রাখা যাবে।
নিশ্চয় ভাবছেন মাখনের মতো দুগ্ধজাত খাবার কীভাবে রেফ্রিজারেটর ছাড়া ভালো থাকবে! অন্যান্য দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদানের চেয়ে মাখন একেবারেই ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। একমাত্র মাখনেই ৮০ শতাংশ ফ্যাট থাকে এবং পানির উপস্থিতি থাকে খুবই কম। ফলে মাখনে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ একেবারে হয় না বললেই চলে।
এছাড়া বেশিরভাগ সময় মাখন তৈরি করা হয় পাস্তুরিত দুধ থেকে। যে কারণে মাখনে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে ও বৃদ্ধি পেতে পারে না।
যে কারণে এয়ারটাইট কন্টেইনার বা বাটিতে রেখে দিলে পুরো এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে মাখন। তবে মনে রাখতে হবে, সল্টেড মাখনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না হলেও লবণহীন মাখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করাই শ্রেয়।