সকাল সুন্দর হওয়ার জন্য রাতে ভাল ঘুম জরুরি। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে সারা দিনের ক্লান্তি আর চিন্তা চলে আসে মাথায়। ফলে ঘুম কমে যায়। এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেন। ‘কয়েক দিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোব, তার পরে বন্ধ করে দেব’— এমন একটা মানসিকতা নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু তার পরে সেটাই আসক্তির জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন আর ওষুধ না খেলে ঘুম আসে না।
কিন্তু ঘুমের ওষুধের নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে এক রকম না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর দিকে যায়। যা ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
ঘুমের ওষুধ খেলে যেসব সমস্যা হয়-
‘এভরিডে হেল্থ’ নামক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পত্রিকার একটি সমীক্ষাপত্র বলা হয়েছে, ঘুমের ওষুধে থাকা যে রাসায়নিকের কারণে ঘুম আসে, তা সকালে ঘুম ভাঙার পরেও শরীরে অনেক ক্ষণ থেকে যায়। তার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপর। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের কারণে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তেমন হলে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
ঘুমের ওষুধ খেয়ে অনেকেই ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধ ছাড়তে হবে। এ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটেন। এমন লক্ষণ দেখলে ছাড়তে হবে ঘুমের ওষুধ।
সারা দিন গলা শুকিয়ে থাকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে। সময়মত ওষুধ খাওয়া বন্ধ না করলে দেখা দিতে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা।
কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, শরীর দূর্বল, গ্যাস্টিক খুব সাধারণ সমস্যা মনে হলেও এগুলো মারাত্মক হতে পারে। দীর্ঘ দিন এমন অবস্থা চললে অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। পেটের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পারমর্শ নিন।
কী ভাবে ছাড়বেন ঘুমের ওষুধ?
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ ছাড়া ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। রোজ একই সময়ে শুতে যাওয়া, ঘুমের আগে ফোন না দেখা, চা কিংবা কফি থেকে দূরে থাকা। এমন কয়েকটি সাধারণ অভ্যাসই কাটিয়ে দিতে পারে ঘুমের সমস্যা।