অ্যারোমাথেরাপির জন্য এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শুধু অ্যারোমা থেরাপি নয়, বাড়িতে তৈরি নানান প্রসাধন সামগ্রীকে সুগন্ধিত করার জন্যও এই তেলকে কাজে লাগানো হয়। আবার শারীরিক সুস্থতায় এসেনশিয়াল অয়েলের নানান ভূমিকা সম্পর্কে অনেকে ব্যাখ্যা করে থাকেন।
তবে সুস্বাস্থ্যে আর সুগন্ধ নয়, রুপচর্চা বেশ কার্যকরী এই তেল। স্ট্রেস দূর করা, মন ভাল রাখা এবং বিউটি থেরাপির বাইরেও এমন অনেক সমস্যা আছে, যার সমাধান করতে পারে ভেষজ তেলগুলো। ত্বকের উপরের দাগছোপ, ব্রণ, ক্ষতের দাগ, সানবার্ন— এসেনশিয়াল অয়েলের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।
সুইট আমন্ড অয়েল
সব তেলের থেকে বেশি হালকা সুইট আমন্ড অয়েলের রয়েছে হাইপোঅ্যালার্জিক গুণ। ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে ত্বকের মোলায়েম ভাব বজায় রাখে সুইট আমন্ড অয়েল। যে কোনও ধরনের ত্বকের দাগছোপ দূর করতেও আদর্শ এই তেল।
নারকেল তেল
ন্যাচারাল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ফাংগাল ও ময়শ্চারাইজিং গুণ থাকার কারণে নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাতে শোওয়ার আগে ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। যেহেতু নারকেল তেল একটু চটচটে তাই তৈলাক্ত ও অ্যাকনে প্রবণ ত্বকে নারকেল তেল না লাগানোই ভাল।
জোজোবা অয়েল
আমাদের শরীরের ন্যাচারাল অয়েলে যে উপাদানগুলো রয়েছে, জোজোবা অয়েলেও রয়েছে ঠিক সেই উপাদানগুলো। আর তাই ত্বকের জন্য এই তেলকেই সেরা মনে করেন বিউটিশিয়ানরা। খুব তাড়াতাড়ি ত্বকে মিশে যেতে পারে জোজোবা অয়েল। যে কোনও ধরনের ত্বকের জেল্লা বাড়াতেই আদর্শ জোজোবা অয়েল।
ল্যাভেন্ডার
এই অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষের জন্ম দিতে পারে এই তেল। গভীর ক্ষতের দাগ সারানোর জন্য ল্যাভেন্ডার বিশেষ কার্যকর বলা হয়। সানবার্ন সারাতেও এই তেল সহায়ক।
ক্যারট সিড
ত্বকের কালো ছোপ দূর করার কাজে এই তেল সহায়ক। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, অ্যালার্জিজনিত দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। অনেক পুরনো ক্ষতের দাগও এই তেলের সাহায্যে সারিয়ে ফেলা যায়।
টি ট্রি অয়েল
অনেক বিউটি প্রডাক্টেই টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বককে সজীব করতে যেমন এই তেলের জুড়ি নেই, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান রয়েছে। ব্রণ, ক্ষতের দাগ সারাতে এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এই তেল সাহায্য করে।