করোনামহামারীকালে কম্পিউটারের কাজ বেড়েছে বহুগুণে। আর তাছাড়াও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বেশিরভাগ কাজই হয় কম্পিউটারে। তবে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকলে সরাসরি প্রভাব পড়ে চোখে। বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে ৮ ঘণ্টার কাজের সময় কখন যে ১০ ঘণ্টায় পৌঁছায় তার হিসেব থাকে না।
আবার মোবাইলের প্রতি নেশা তো আছেই। আর ইলেকট্রনিক্স স্ক্রিন টাইম সোজাসুজি প্রভাব পড়ে চোখে। পাওয়ার বেড়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা করা, চোখ থেকে জল পড়া সহ একগুচ্ছ সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে আবার চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাতেও ভোগেন। কিন্তু এ থেকে চোখ বাঁচিয়ে তো চলতে হবে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে চোখের যত্ন রাখবেন-
১. একটানা কাজ করবেন না। প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর একটা ছোট্ট করে বিরতি নিন। তবে, সেই সময়টা আবার মোবাইলে তাকাবেন না যেন! জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাতে পারেন, চোখ বুজে একটু শুয়ে থাকতে পারেন, ছাদ বা ব্যালকনি থেকে ঘুরেও আসতে পারেন। মিনিট ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে ফের কাজে বসুন। এতে যেমন স্ক্রিনের নীল আলো থেকে চোখ বিশ্রাম পাবে, তেমনই পিঠ, কোমর, ঘাড়ে ব্য়থার মতো সমস্যাও হবে না।
২. একটানা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে অনেকেরই চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ ব্যথা করে। এক্ষেত্রে বারবার চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। কাজ শেষ করে উঠে শসা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর রেখে মিনিট ১০ বিশ্রামও নিতে পারেন। না হলে ফ্রিজে গোলাপ জল রেখে ঠান্ডা করে নিন। এবার সেই ঠান্ডা গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে তা চোখের ওপর রাখুন। দেখবেন অনেকটা আরাম পাবেন।
৩. কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখের ব্যায়াম করুন। চোখের মণি ওপর, নীচ, ডান, বাম দিকে ঘোরান। এরকম ভাবে ১০ বার করুন। এতেও চোখ ও মাথাব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমবে।
৪. অন্ধকারে ইলেকট্রনিক্স আইটেমের নীল আলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই ঘর অন্ধকার করে ল্যাপটম, মোবাইল বা টিভি দেখবেন না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে থেকে এগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। এতে দ্রুত ঘমিয়ে যেতে পারবেন।
৫. চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা কিন্তু অনেক কারণে হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দীর্ঘক্ষণ যারা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তারা অ্যান্টি-গ্লেয়ার কম্পিউটার গ্লাসও ব্যবহার করতে পারেন।