করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ঘরে বসে থেকে কম-বেশি প্রায় মানুষেরই ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই হয়তো এখন ভাবছেন যে, কীভাবে সহজেই ওজন কমানো যায়। আজকে থেকে থাকছে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ওজন কমানোর পদ্ধতি। এটি অত্যন্ত সহজ ও কার্যকর।
হালকা গরম পানি পান করুন: আয়ুর্বেদে ঠাণ্ডা পানি পান করার পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া আছে। হালকা গরম পানি আয়ুর্বেদে অমৃত হিসেবে বিবেচিত। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে পারে। টক্সিন এক ধরনের আঠালো খাদ্য পদার্থ, যা দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে জমা হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান: রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সময়কে ঘুমের আদর্শ সময় বলা হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে।
দিনে তিন বেলা খাবার খান: নিয়মিত হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে শরীরের কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই স্বাস্থ্যকর এবং অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দিনে কোনো স্ন্যাক্স না খেয়ে তিন বেলা মূল খাবার খান। এটি শরীরকে হজমের সময় দেয়।
রাতের খাবার হালকা করুন: প্রতিদিন রাতে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি পাচনতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে না। ঘুমানোর সময় এটি শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, সন্ধ্যা সাতটার আগে রাতের খাবারের উপযুক্ত সময়। এটি খাবার হজম করার জন্য শরীরকে পর্যাপ্ত সময় দেয়।
খাবার খাওয়ার পর হাঁটুন: সার্বিক সুস্থতার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি প্রতিদিন জিমে যাওয়ার সুযোগ না পান, তাহলে খাওয়ার পরে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি আপনার মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
ছয় রকমের স্বাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন: আয়ুর্বেদ স্বাদ অনুযায়ী খাবারকে ছয় ভাগে ভাগ করেছে - মিষ্টি, টক, তিতা, ঝাল, কষাটে ও নোনতা। খাদ্যতালিকায় এই সমস্ত স্বাদ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি এবং অতিরিক্ত লবণজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
খাদ্যতালিকায় ভেষজ রাখুন: বাড়িতে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ মশলা এবং ভেষজ যেমন হলুদ, আদা, অশ্বগন্ধা, আমলকি, ত্রিফলা এবং দারুচিনি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। দৈনন্দিন খাবারে এই সকল ভেষজ এবং মশলার প্রয়োগ ওজন হ্রাস করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।