একেবারেই ভিন্নভাবে এই চারাটির জন্ম হয়। বন্য গাছ সংরক্ষণের জন্য নতুন পরীক্ষা ও কৌশল ব্যবহারের সময় এই চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটে।
কিউ’স মিলেনিয়াম সিড ব্যাংকের ড. জন ডিকি বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় গাছদের সংরক্ষণের জন্য এটা এক ধরণের ইনস্যুরেন্স পলিসি’। তিনি আরও জানান, এই পৃথিবী থেকে খুব দ্রুত গাছপালা হারিয়ে যাচ্ছে। যা বড় ধরণের বিপর্যয়ের লক্ষণ।
গাছ সংরক্ষণের বিষয়ে তিনি জানান, সংরক্ষণ করা সবসময়ই সবচেয়ে ভালো একটি উপায়। কারণ বিবর্তন চলমান একটি প্রক্রিয়া। এছাড়া প্রকৃতিতে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে এটা খুবই সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি। ভয়াবহ ও বড় ধরণের যুদ্ধের মতো বিপর্যয়ের জন্য, শস্যদানার বীজ ও বন্য গাছ সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে বোম-প্রুফ, ফ্লাড-প্রুফ ও রেডিয়েশন-প্রুফ ভল্টে।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো, ২০২০ সালের মাঝেই অন্ততপক্ষে ৭৫ শতাংশ প্রজাতি গাছের সংরক্ষণ করে ফেলা। তবে এক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতাও আছে। বেশিরভাগ বীজ প্রচলিত নিয়মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ন্যাচার প্ল্যান্টস জার্নালের তথ্যানুসারে, ৩৬ শতাংশ সঙ্কটাপন্ন প্রজাতি, ৩৩ শতাংশ সকল ধরণের গাছের প্রজাতি অ১০ শতাংশ ঔষধি গাছ রয়েছে এর মাঝে। ফলে চেষ্টা করলেও সকল ধরণের গাছ ও গাছের বীজ সিড ব্যাংকে সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
তবে গবেষকেরা প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রিওপ্রিজার্ভেশন (Cryopreservation) নামক একটি পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কফি, চকলেট ও অ্যাভোকাডো এবং ওকে গাছ সংরক্ষণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।