কেউ কেউ মনে করেন, আট ঘণ্টার ঘুমটাও পর্যাপ্ত নয় তার জন্য। গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়তি ঘুম শরীরের জন্য ভালো নয়। অল্প ঘুম হলেও যেমন সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শরীরে নানা ঝক্কি বয়ে আনে। পর্যাপ্ত ঘুম যেমন জরুরি, তেমনই প্রয়োজন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করা।
ঘুম নিয়ন্ত্রণ করার কয়েকটি উপায় জেনে নিন আজ—
নির্ধারিত সময়
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে, ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে। এই ছন্দটা ভাঙতে দেবেন না।
অ্যালার্ম
অ্যালার্ম দিলেই তো হলো না। তাতে কাজ হতে হবে। যদি এক ধরনের অ্যালার্মে ঘুম না ভাঙে, তবে দু’-তিন জায়গায় অ্যালার্ম দেওয়া ভাল। চেষ্টা করলে ফল ভালো হয়।
ছুটির দিনে
অনেকেরই মনে হয় সপ্তাহের একটা ছুটির দিন বেশি করে ঘুমিয়ে নিলে বাকি ৬ দিন চনমনে থাকা যাবে। এ তথ্য ঠিক নয় বরং ঘুমের নিয়ম প্রতি দিন এক থাকা প্রয়োজন। শরীর যে মুহূর্তে বেশি ঘুমের আরাম পেয়ে যায়, তখনই তার চাহিদা বাড়তে থাকে।
ঘুমানোর জায়গা
ঘুমানোর জায়গাটা আরামদায়ক হওয়া দরকার। ঘর অন্ধকার আর ঠান্ডা রাখুন। সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সুইচ অফ করে দিন। বালিশ আর বিছানার গদি যেন আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়, তেমন হলে তা বদলে ফেলুন।