কয়েকদিন আগে সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এতে আলোচনায় এসেছে সারোগেসি পদ্ধতি। যদিও এর আগে অনেক বলিউড, হলিউড অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা সন্তান নিয়েছেন এই পদ্ধতিতে।
কী এই সারোগেসি?
যেসব মহিলারা সন্তানধারণ করতে পারেন না কিংবা চান না তাদের হয়ে অন্য কেউ গর্ভে সন্তানধারণ করলে, তাকে বলা হয় সারোগেসি। সন্তানধারণ যিনি করছেন, তিনি হলেন সেই শিশুর সারোগেট মা। বিশেষ করে যে সকল মহিলার শরীর সন্তানধারণের ধকল নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়, তারাই এই পথ বেছে নেন। কারও কারও ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য কারণও থাকে। তবে শুনতে যত সহজ, বিষয়টি মোটেই সহজ সরল নয়। এতে যেমন রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা, তেমনই রয়েছে নানা আইনি বিষয়ও। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সারোগেসির খুঁটিনাটি।
সারোগেসির নানা ধরন এবং নিয়ম রয়েছে। এ পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে তা জানা জরুরি। সারোগেসি মূলত দু’ধরনের হয়। যেমন—
ট্র্যাডিশনাল সারোগেসি
এক্ষেত্রে বাবার শুক্রাণু প্রতিস্থাপিত হয় সারোগেট মায়ের শরীরে। কৃত্রিম পদ্ধতিতেই তা করা হয়। সারোগেট মায়ের ডিম্বাণুই ব্যবহৃত হয়। সারোগেট মা এখানে সন্তানের বায়োলজিক্যাল। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাবার শুক্রাণু কাজ না করলে অন্য ডোনারের শুক্রাণু দিয়ে কাজ চালানো হয়। তবে সেটাও প্রতিস্থাপন করা হয় কৃত্রিম পদ্ধতিতেই।
জেস্টেশনাল সারোগেসি
এক্ষেত্রে বাবার শুক্রাণু এবং মায়ের ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে ফার্টিলাইজ করে তা প্রতিস্থাপন করা হয় সারোগেট মায়ের জরায়ুতে। এক্ষেত্রে সারোগেট মায়ের সঙ্গে সন্তানের কোনও জিনগত মিল থাকে না। এই পদ্ধতিই সবচেয়ে প্রচলিত এখন।
মূলত এই দু’টিই সারোগেসির প্রধান পদ্ধতি। যদিও এর বাইরেও রয়েছে কয়েকটি অন্য নিয়মও। তার ভিত্তিতে ভাগ করা হয় সারোগেসিকে।
সারোগেসির আগে মনে রাখতে হবে কী কী?
>এমন সারোগেট বাছা হয় যার রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, থাইরয়েডের মাত্রা স্বাভাবিক। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখা হয় সারোগেট নির্বাচনের আগে।
>এমন সারোগেট মা নির্বাচন করা হয়, এর আগে যিনি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এছাড়াও সারোগেট মায়ের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। একবারের বেশি সারোগেট সন্তান ধারণ করতে পারবেন না কেউ।
তবে সারোগেসি সংক্রান্ত নিয়ম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। যদিও বাংলাদেশে সারোগেসি সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো আইন নেই। তাই এই পথ বেছে নেওয়ার আগে সবকিছু ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি, যাতে পরবর্তীকালে কোনও আইনি সমস্যায় না পড়তে হয়।