শীত শেষে প্রকৃতিতে এখন বসন্ত। আর ঋতুবদলের এই সময়টাই শিশুদের ঠান্ডা-কাশি লেগেই থাকে। বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগা মানেই, তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনীহা ও কান্নাকাটি লেগেই থাকবে। এই সময় বাচ্চাদের সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য রইল কিছু ঘরোয়া সমাধান।
শাক-সবজি
বাংলায় বসন্ত মানেই বাহারি সবজির সমাহার। এখনও বাজারে মিলছে হরেক রকমের শাক ও মূল জাতীয় সবজি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেটুস, পার্সলে ও গাজর অত্যন্ত কার্যকরী। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন: নাশপাতি, আঙ্গুর, কলা প্রভৃতি ফল শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে।
খেলাধুলা
শীতকালে বেলা ছোট হয়ে আসে। কিন্তু বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্মের দিকে গেলে বেলা লম্বা হয় অনেকটাই। তবুও স্কুলের চাপ সামলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় পায় না। কিন্তু শরীর ভাল রাখতে খেলাধুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল, ল্যাপটপের বাইরে বেরিয়ে ঘণ্টাখানেক বাইরে খেলা করলে শরীর থাকবে চনমনে।
উপযুক্ত পোশাক
বসন্তকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি থাকে। তাই পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করুন। বেশি ভারী পোশাক বা বেশি হাল্কা পোশাকে সমস্যা দেখা দিতে পারে এই সময়।
পরিছন্নতা
করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও শরীর জীবাণুমুক্ত রাখার অভ্যাস অপরিহার্য। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই বাচ্চাদের মাথায় সেটা থাকে না। কাজেই সন্তানের পরিছন্নতার দ্বায়িত্ব নিতে হবে মা-বাবাকেই। সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এড়ানো যায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।